মেঘমন্দ্রে বাজিল যে ধ্বনি, চাহিয়া রহি পথ পানে –
আসিল কি মোর রাজা-সখা ? যা দেখেছিনু স্বপনে !
যায় যে সময় কাটিয়া, ঊষা হইল দিবা, দিবা থেকে রজনী –
দীন-ভিক্ষু আমি, ভিক্ষা পাত্র রহিল শূণ্য , হে মোর দুঃখহারিনী ।
আসিল কি মোর রাজা-সখা ? যা দেখেছিনু স্বপনে !
যায় যে সময় কাটিয়া, ঊষা হইল দিবা, দিবা থেকে রজনী –
দীন-ভিক্ষু আমি, ভিক্ষা পাত্র রহিল শূণ্য , হে মোর দুঃখহারিনী ।
সম্মুখে অপার সিন্ধু , কল্লোল উতরোল, তপ্ত বেলা ভূমি –
রাজা কোথা তুমি ! তৃষিত হৃদয় হে মোর জীবন স্বামী !
মন্দির থেকে তুষারাবৃত পর্বতশ্রেনী , অরণ্য থেকে অরণ্যানী
কত খুঁজেছি তোমায় ঈশ্বর-রাজা-সখা দুঃখ বিনাশী ।
রাজা কোথা তুমি ! তৃষিত হৃদয় হে মোর জীবন স্বামী !
মন্দির থেকে তুষারাবৃত পর্বতশ্রেনী , অরণ্য থেকে অরণ্যানী
কত খুঁজেছি তোমায় ঈশ্বর-রাজা-সখা দুঃখ বিনাশী ।
সেদিন উজ্বল নীলাকাশে উঠিল সহসা মেঘ ঝঞ্ঝা –
চমকি উঠিলাম উঠিল চমকি নগরবাসী ! তবে কী প্রভু
আসিছে, রাখিতে মোর বাঞ্ছা !!
শত প্রশ্ন উঠিল হৃদি পঙ্কজ মাঝে, বহিল অশ্রু-তরঙ্গ –
বাহিরিলাম পথ ধারে – কোথা মোর রাজা ?
দেখিব আজই চর্মচক্ষে ।
কিন্তু একী ! ধূলিমাখা পথে ধূলায় আবৃত ভিক্ষু –
আসিয়া রাখিল হাত মোর মস্তকে !
চমকি উঠিলাম উঠিল চমকি নগরবাসী ! তবে কী প্রভু
আসিছে, রাখিতে মোর বাঞ্ছা !!
শত প্রশ্ন উঠিল হৃদি পঙ্কজ মাঝে, বহিল অশ্রু-তরঙ্গ –
বাহিরিলাম পথ ধারে – কোথা মোর রাজা ?
দেখিব আজই চর্মচক্ষে ।
কিন্তু একী ! ধূলিমাখা পথে ধূলায় আবৃত ভিক্ষু –
আসিয়া রাখিল হাত মোর মস্তকে !
ফিরিলাম আপন গৃহে , এ জীর্ন হৃদয় আজি আনন্দময় –
সবে পুলকিত, গাহিছে কুহু , কানন-গৃহ মোর জ্যোতির্ময় !
মেঘমন্দ্র কণ্ঠে শুনিলাম দৈববানী –
“ তোর রাজা-সখা-ঈশ্বর কেন খুঁজিস ওরে –
আমি যে রয়েছি নানা বেশে তব হৃদি অন্তরে ।।”
সবে পুলকিত, গাহিছে কুহু , কানন-গৃহ মোর জ্যোতির্ময় !
মেঘমন্দ্র কণ্ঠে শুনিলাম দৈববানী –
“ তোর রাজা-সখা-ঈশ্বর কেন খুঁজিস ওরে –
আমি যে রয়েছি নানা বেশে তব হৃদি অন্তরে ।।”
No comments:
Post a Comment